আবু সাইদ আহমদ. যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি, দূরবীন নিউজ :
গত ১৯ জুন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের নায়ক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নামে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য মেরিল্যান্ডে সারটোগা ষ্ট্রীটের
বাল্টিমোর সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি রাস্তার নামকরণ করেছেন “ জিয়াউর রহমান ওয়ে “ ( Ziaur Rahman way )।
আমাদের দূরবীন নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধি আবু সাইদ আহমদ এই তথ্য জানান । তিনি আরো জানান, বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি মেরিল্যান্ড আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে খয়েক শত প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিতে বাংলাদেশি কালজয়ী এই নেতার নামে সড়কটির ফলক উম্মোচণ করেছেন মেরিল্যান্ড স্টেট ডেলিগেট রবিন টি লুইস।আর উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চূয়ালী যোগ দেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মেরিল্যান্ড হাউস মেম্বার ডেলিগেট রবিন টি লুইস, ডেলিগেট হ্যারি ভেন্ডারি, গভর্নর অফিসের কমিশনার ড. স্যাম কারকি, মেয়র অফিসের প্রতিনিধি রবার্ট জ্যাকসন, স্থানীয় মূলধারার রাজনীতিক গভর্নর অফিসের সাবেক কমিশনার আনিস আহমেদ।
এছাড়া ওই সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ, যুক্ত রাস্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ,আমানত হোসেন আমান প্রমুখ।প্রধান অতিথি ভার্চূয়ালী যোগে বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধা ছিলেন। তিনি (জিয়াউর রহমান) যেমনভাবে জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য লড়াই করে স্বাধীনতার চুড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করে ছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে তিনি দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিতি করে ছিলেন।
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন । পরবর্তীতে তিনি বাস্তবে ওই স্বপ্ন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন। একদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে তিনি বহুদলীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
উদ্ভোধক রবিন টি লুইস বলেন, বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সম্মান জানাতে পেরে বাল্টিমোর বাসী অত্যন্ত আনন্দিত। শহীদ জিয়াকে আন্তর্জাতিক নায়ক উল্লেখ করে স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি বলেন, তাকেঁ সম্মান জানানোর অর্থ হচ্ছে-গণতন্ত্রের প্রতি, মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো। তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া যেমন দেশ গড়েছেন, তেমনি মানুষের অধিকারকেও সমুন্নত রেখেছেন।
ডেলিগেট হ্যারি ভেন্ডারি বলেন, আজকের এই আনন্দ কেবল বাংলাদেশি কমিউনিটির নয়, সমগ্র এশিয়ান কমিউনিটির। এই শহরে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নামে যে সড়কের ফলক উম্মোচিত হলো, তা চির অম্লান থাকবে এবং মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির আরো ব্যাপক অংশগ্রহণ কামনা করেন।
সাবেক কমিশনার আনিস আহমেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সকল দল ও মতের রাজনীতির সুযোগ অবারিত করেছিলেন। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছিলো তাঁর মাধ্যমে। গোটা বিশ্ব আজও শহীদ জিয়ার অভাব তীব্রভাবে অনুভব করে। ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামকরণ তাঁর প্রতি সম্মানের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে আজ সোমবার ( ২১ জুন) ঢাকায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাল্টিমোর সিটির সড়কটিকে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামকরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জিয়াউর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে বাল্টিমোর সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি গভীর শ্রদ্বাও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কুটনৈতিক সম্পর্কের এক অনন্য উচ্চতায় স্থাপিত হয়েছিল বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুই দেশ সে সময়ে যুগপৎ ভুমিকা পালন করে। তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন তা আজও সকলে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার শাসনামলে তিনি বাংলাদেশে টেক্সটাইল এবং তৈরী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরী পোশাক রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানির সুযোগ করে দিয়ে ছিলো।
/এডিজেড /একে/ দূরবীণ নিউজ