দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে একটি ১২ তলা ভবন বিধ্বস্ত বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে বিধ্বস্ত ১২ তলাবিশিষ্ট ভবনের নিচে কমপক্ষে চারজন মারা গেছেন এবং ১৫৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়।
এদিকে গভীর উদ্বেগ, আশঙ্কা আর শোক নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন তাদের স্বজনরা। নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফোনে তারা ফোন করে কোন উত্তর পাচ্ছেন না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায় তারা হয়তো মারা গেছেন।
তবু আশা ছাড়েনটি মিয়ামির মেয়র। তিনি বলেছেন, আমরা আশা করছি এখনও জীবিতদের উদ্ধার করতে পারবো আমরা। ওদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফ্লোরিডায় জরুরি অবস্থা অনুমোদন দিয়েছেন।
এর অর্থ হলো ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (ফিমা) সেখানে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় রাজ্যের অন্যান্য এজেন্সিকে সহায়তা করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে আরো বলা হয়েছে, ঘটনার পর থেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এখন পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাওয়া ৪০ বছর বয়সী ওই ভবনের ১০২ জন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
কিন্তু ধসে পড়ার সময় এর ভিতর কত মানুষ ছিলেন তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। ধ্বংসস্তূপের নিচে বিশেষ শব্দ বিষয়ক ‘ছোনার ক্যামেরা’ এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আন্ডারগ্রাউন্ডের একটি কার পার্ক থেকে সুড়ঙ্গ সৃষ্টি করে সেখান দিয়ে তারা জীবিতদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। সকালের সংবাদ সম্মেলনে সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস বার্কেট বলেছেন, ভবনটির ভিতর থেকে প্রায় ১৫ টি পরিবার বেরিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় একটার দিকে সব মানুষ যখন গভীর ঘুমে অচেতন, ঠিক তখনই ওই ভবনটি ধসে পড়ে।
শুক্রবার মিয়ামি-ডেডে’র মেয়র ডানিয়েলা লেভিন কাভা বলেছেন, জীবিতদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করা হচ্ছে। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও আমরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখব। এখনও আমাদের আশা আছে যে, জীবিতদের উদ্ধার করতে পারবো।
অন্যদিকে উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনের অন্যপ্রান্তে কিছু একটা শব্দ পেয়েছেন। কিন্তু কোনো মানুষের শব্দ সেখান থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় উদ্ধার অভিযান চালানো খুব বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। কারণ, ধ্বংসস্তূপ উদ্ধারকারীদের ওপর আবার ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। এর ওপর সেখানে অব্যাহতভাবে বৃষ্টি ও ঝড় হচ্ছে।
ফলে উদ্ধার কাজ খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের আত্মীয়দের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারা কয়েক ব্লক দূরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান করছেন।#