দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
যশোর বিভাগে ভুয়া ভাউচারে কথিত জিপিএফসহ বিভিন্ন বিলের নামে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাগুরা পুলিশের চার এসআই ও ৮ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মামলার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার এসআই হাসিনা খাতুন, এসআই মোঃ সবুর আলম খান,যশোর পুলিশ লাইনের এসআই মোঃ মাহাবুব আলম,মাগুরা পুলিশ লাইনের অবসরপ্রাপ্ত এসআই মোঃ সাইফুর ইসলাম ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত টিএসআই খান মোঃ আব্দুল হাই, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এ এস আই মোঃ আতিয়ার রহমান ও শাহ আলম গাজী, মাগুড়া জেলা পুলিশ লাইনের হিসাবরক্ষক মোঃ শরিফুজ্জামান, মাগুরা জেলা হিসাব রক্ষণ ও ফিন্যান্স কর্মকর্তা জি এম জিল্লুর রহমান, ফিন্যান্স কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ও সরকার রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের অডিটর মোঃ আজমল হোসেন, মোঃ আব্দুল লতিফ মিঞা, রথিন বিশ্বাস, মোঃ ফজলুর শহিদ ও শেখ আব্দুস সালাম, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল গাজী মশিউর রহমান, মোঃ ফিরোজ হোসেন,শিপন মৃধা,মোছাঃ তাসলিমা খাতুন,হালিমা, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল কৃষ্ণপদ বিশ্বাস,মোঃ আকবর আলী ও আবুল কাশেম এবং নড়াইলের বাসিন্দা আজমল মুন্সি ও মাগুরা বাসিন্দা রোকাইয়া ইয়াসমিন বিচিত্রা এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মোঃ ওয়াজেদ আলীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় হতে কথিত জিপিএফ, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, ডিপোজিট এগেইন্সট সাপ্লাইজ এ্যান্ড ওয়ার্ক নামে বিল মাগুরা জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে প্রেরণ করা না হলেও ৯ জনের নামে ৮১ টি একাউন্ট পেয়ী চেক ইস্যু করার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাত করে আসামিরা।
পরস্পরের যোগসাজশে একই পদ্ধতিতে অস্তিত্ববিহীন ৬টি বিলের মাধ্যমে জেলা পুলিশ মাগুরার ৬জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোঃ আতিয়ার রহমান, শাহ আলম গাজী, খান মোঃ আব্দুল হাই, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মোঃ আকবর আলী এবং আবুল কাশেম তাদের জিপিএফ এর প্রাপ্য অর্থের অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাত করেন। এভাবে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাত করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।#