দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ক্যাসিনোর কান্ড ,অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিরন্ডারিংয়ের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের রাজনৈতিক পিএস -২ ,( দুদকের রেকর্ডে এপিএস) শেখ কুদ্দুস আহমেদকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন দুদক কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম শেখ কুদ্দুস আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি তাকে তলবি চিঠি দেয়া হয়েছিল।
অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও ক্যাসিনো ব্যবসাসহ অন্যান্য অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত থেকে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শেখ কুদ্দুস গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে দুদকে ডাকা হয়েছিল। বক্তব্য প্রদান করেছি। এর বাইরে বেশি কিছু বলা যাবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। সাংবাদিকদের সাথে কুদ্দুস নিজেকে কর কর্মকর্তা ও পিএস-২ বলে দাবি করেন।
এখন প্রশ্ন উঠেছে ডিএসসিসির কর্মকর্তা শেখ কুদ্দুস আহমেদের পর আর কারা আসছেন দুদকে। এই আতঙ্কে রয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোনের সবচেয়ে ঘনিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবে দুদকের তলবি নোটিশ প্রাপ্তদের তালিকা ক্রমেই বাড়ছে বলেও ঈঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শুদ্ধি অভিযানে ক্যাসিনোর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীদের গ্রেফতার হয়।
এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করে দুদক।
কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। # কাশেম