দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম আগামী ১০ এপ্রিল থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার উৎপত্তি স্থল হিসেবে চিহ্নিত ডোবা, জলাশয়,পরিত্যক্ত জমির কচুরিপানা ও আর্বজনা নিজ উদ্যোগে পরিষ্কারে ব্যর্থ মালিকদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন ।
আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে নগরীর ৫৪টি ওয়ার্ডের ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমি ইত্যাদির তালিকা প্রণয়ন করে জমা দিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।
ডিএনসিসির মেয়র মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের একাধিক বিশেষ অভিযানকালে সরেজমিন পরির্শনকালে এইসব চিত্র দেখতে পান।
ওই তালিকা অনুযায়ী আগামী ৩ এপ্রিল সকল ডোবা,জলাশয়,পরিত্যক্ত জায়গা ইত্যাদির মালিকদের নিজ উদ্যোগে তাদের ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কারের জন্য চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই চিঠির পর ডোবা,জলাশয়,পরিত্যক্ত জায়গা পরিষ্কারে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে গণহারে মামলা করতে হবে।
শনিবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরবর্তী এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ ওই সভায় মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম সদ্য সমাপ্ত সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, মশক নিধন কর্মী, পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক, মশক সুপারভাইজারগণ তাদের মতামত শোনেন। পরে মেয়র আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য দিক নির্দেশনা দেন।ডিএনসিসির মেয়রের নির্দেশে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের একাধিক বিশেষ অভিযানকালে ডিএনসিসির কর্মকর্তারা সরেজমিন পরির্শন করেন।
মেয়র বলেন, “যার জায়গা তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মালিকানাধীন যাই হোক না কেন সবার প্রতি এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। যার ডোবা তারা নিজেরা পরিষ্কার করবেন, অন্যথায় যেখানেই ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানেই মামলা দেওয়া হবে”।
মেয়র আতিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ অভিযান চলাকালে ১২ শো মশক নিধন কর্মীর হাজিরা দেখতে পাইনি”। ফলে প্রত্যেক মশক সুপারভাইজারকে তার নিজ নিজ ওয়ার্ডের মশক নিধন কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে”। বায়োমেট্রিক হাজিরা ও ট্র্যাকার স্থাপনের জন্য তিনি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেন।
তিনি বলেন,আগামী এপ্রিলের ২০ তারিখের মধ্যেমশক নিধন কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিতের কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।ডিএনসিসির মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের একাধিক বিশেষ অভিযান পরির্শনকালে এইসব চিত্র দেখতে পান।
মেয়র বলেন, “প্রত্যেক মশক নিধন কর্মীর ট্র্যাকার লাগিয়ে মনিটরিং করতে হবে। মশক নিধন সুপারভাইজারগণ মনিটরিং করবেন। কাউন্সিলরগণও মনিটরিং করবেন”।
মশক নিধন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশনাও প্রদান করেন আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “অঞ্চল ভিত্তিক মশক নিধন কর্মীদের জন্য তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে”।
এছাড়া মশার হটস্পট বের করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর, রোড ইন্সপেক্টর, সহকারি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, কীটতত্ত্ববিদ, সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণকে নির্দেশ দেন মেয়র।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে, যে ওয়ার্ড সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং কম মশা পাওয়া যাবে সে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং তাঁর টিমকে আগামী ডিসেম্বর মাসে স্বর্ণ পদক দেওয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
আজ শনিবার মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর সাইদুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা,সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, আবদুল মতিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।/
—