দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জে ১ নং আন্দারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩৮৪ জন জেলের জন্য বরাদ্দ করা ৩, ৮৪০ কেজি চাল আত্মসাতের অপরাধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জেলেদের ৩,৮৪০ কেজি চালের বাজার মূল্যমান প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪০ টাকা ।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল ) জেলেদের চাল আত্মসাতকারী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের উপ পরিচালক দেবব্রত মন্ডল বাদী হয়ে সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ে মামলা নং-০২ দায়ের করেন। মামলাটি দন্ডবিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি জানান, ওই এলাকায় সুবিধাভোগী ৩৮৪ জেলেকে ৪০ কেজি হারে চাল দেবার কথা ছিল। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সবাই ৩০ কেজি করে চাল দেন। তিনি জনপ্রতি ১০ কেজি করে মোট ৩৮৪০ কেজি চাল আত্মসাত করেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ১নং আন্দারমানিক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলাম গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ২৪ মার্চ ভিজিএফ (মৎস্য) চাল জেলে পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য পৃথক দুইটি ডেলিভারী অর্ডার মূলে ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের খাদ্য সহায়তা বাবদ ১৫,৩৬০ কেজি হারে মোট ৩০,৭২০ কেজি চাল উত্তোলন করেন। কিন্তু নিয়মানুসারে উক্ত ইউনিয়নের ৩৮৪ জন জেলের মধ্যে মাসিক ৪০ কেজি হারে চাল বিতরণ করার কথা ছিল।
আরো অভিযোগ রয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে কাজী সহিদুল ইসলাম ভিজিএফ চাল বিতরনের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা’কে অবহিত পূর্বক ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ভিজিএফ (মৎস্য) চাল বিতরনের কথা ছিল। কিন্তু তিনি গত ফেব্রুয়ারী/২০২০ মাসের ভিজিএফ (মৎস্য) চাল কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ গত ৯ এপ্রিল বিতরণ শুরু করেন।
প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি চাল দেওয়ার পরিবর্তে ৩০ কেজি করে দিতে থাকেন। চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওইা দিন গত ৯ এপ্রিল খবর পেয়ে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিমুল রানী পাল আন্দারমানিক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত হন। তিনি একাধিক জেলে কার্ডধারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জেলেরা জানায় তাদের’ সবাইকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
আরো অভিযোগ রয়েছে, ৩৮৪ জেলের জন্য ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের চাল উত্তোলন করেছে ওই ইউপি চেয়ারম্যান। জেলেদের মধ্যে কেবলমাত্র ফ্রেব্রুয়ারী মাসের চাল মাস্টাররোল মোতাবেক বিতরণ দেখানো হয়েছে। আর মার্চ মাসের চাল গোডাউনেই রেখেছেন চেয়ারম্যান। এক মাসই জেলেদের ৩,৮৪০ কেজি চাল যার বাজার মূল্যমান প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪০ টাকা আত্মসাত করেছেন। # কাশেম