দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
প্রচন্ড আতঙ্কে রয়েছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকাবাসী, ইতোমধ্যে নদীগর্ভে ২০টি বাড়ি, হুমকিত ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসা। এছাড়া আরো অনেক বাড়ি-ঘর, স্খাপনা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হুমকিরমুখে পড়েছে।
জানা যায়, ধলেশ্বরী নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। গত দুই দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে উপজেলার কয়াইন ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের প্রায় ২০টি বাড়ি। হুমকির মুখে রয়েছে শতাধিক বাড়ি। ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসাটি ভাঙতে শুরু করেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেক এসব এলাকায় কোনো সাহায্য করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন। অনেক পরিবার তড়িঘড়ি করে তাদের ঘরবাড়ি অন্য এলাকায় সরিয়ে নিচ্ছে।
রোববার (২ আগস্ট) উপজলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান রোববার সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন, বিষয়টি আমি জানি পানি উনয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদর সাথে আমার কথা হয়েছে তারাও আজকে ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশন করেছেন। খুব দ্রুত প্রশাসনের পক্ষ হতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এলাকাবাসী ব্যক্তিগত উদ্যাগে বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেছে।
এদিকে ধলশ্বরী নদী ভাঙনে দিশেহারা ইসলামপুর গ্রামের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, হঠাৎ নদীর পানি কমায় বাড়ি ভাঙনের মুখে কোনো মতে বেঁচে আছি। বসতভিটাসহ সবই নদীতে চলে গেছে। হঠাৎ হঠাৎ করে বড় বড় পাড় ভেঙে পড়ছে।
কয়াইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশ্রাফ আলী শেখ বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। নদীতে পানি কমার সাথে সাথে তীব্র স্রাতের কারণে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০টির মতো বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জহুরুল হক বলেন, এ বিদ্যালয়ে উপজেলার ১ হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখা পড়া করে। আমরা এখন খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে আর কয়েক দিনর মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে দ্বীনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। # কাশেম