দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
ময়মনসিংহ-জামালপুর সড়কে মুক্তাগাছায় গার্মেন্টস কর্মী নুরুল ইসলাম (৪০) তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩২) এবং একমাত্র মেয়ে লিজা আক্তারসহ (১২) পরিবারের তিন জনেরই বাস চাপায় মারা গেলেন।
শনিবার (৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ-জামালপুর সড়কে মুক্তাগাছার মানকোন-এ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তারা তিন জনসহ নিহত হন সাত জন।
নিহত নূরুল ইসলামের স্বজন মকবুল ইসলাম জানান, মধুপুর উপজেলার কাটা জানিনয়া পাড়া গ্রামের নূরুল ইসলাম গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। তাদের পরিবারের একমাত্র মেয়েটি সেখানকার একটি মহিলা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। নিজ এলাকায় গিয়ে পরিবারের সবার সাথে মিলে ঈদ উদযাপন করতে ঈদের এক সপ্তাহ আগে স্বপরিবারে বাড়িতে ফেরেন তিনি।
ঈদের ছুটি শেষে রোববার (৯ আগস্ট) তাদের কাজে যোগদানের কথা ছিল। শনিবার দুপুরে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী রওনা হন গাজীপুরের উদ্দেশ্যে। মুক্তাগাছায় গিয়ে ঢাকার গাড়িতে ওঠার উদ্দেশ্যে চেচুয়া বাজার থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন তারা।
পথে মানকোন-এ বিপরীত থেকে আসা রাজিব পরিবহনের একটি বাস মুখোমুখি চাপা দিলে সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ সাত জন নিহত হন। এদের মধ্যে নুরুল ইসলামের পরিবারও ছিলো।
এছাড়াও মুক্তাগাছার মলাজানি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), মধুপুর উপজেলার সোলাকুড়ি গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৫৫), নজর মিয়া (৬০) এবং সিএনজি চালক আলাদুল মিয়া (৩২)।
ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন জানান, শনিবার সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাস মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন এলাকায় ময়মনসিংহগামী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি অটোরিক্সার চার যাত্রী নিহত হয়। পরে আহত অবস্থায় তিন জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ‘নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে চালকসহ আটক করা হয়েছে।’ # কাশেম