দূরবীণনিউজ প্রতিনিধি :
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার কার্যক্রম বিচারিক বিশেষ জজ আদালতে চলার পক্ষে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সাথে দুদকের করা মামলাটি বাতিল চেয়ে মির্জা আব্বাসের পক্ষ থেকে পুনর্বিবেচনার আবেদন বিষয়টিও খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে অভিযুক্ত মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বিচারিক বিশেষ জজ আদালতে দুদকের করা মামলারকার্যক্রম চলতে আর কোনো বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বে এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও সগীর হোসেন লিয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আদালতের বাইরে গণমাধ্যমকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। পরে মির্জা আব্বাস ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ চেয়ে আবেদন করেন। মির্জা আব্বাসের আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আয়কর পরিশোধ নিয়ে একটি মামলা হয়।
সেই মামলায় মির্জা আব্বাসের দন্ড হয়। আপিলের পর সেই দন্ডের রায় বাতিল হয় এবং তিনি খালাস পান। একই রকম ফ্যাক্টসে দুদক একটি মামলা করে। আমরা বলেছি, একই বিষয়ে দুইবার মামলা চলতে পারে না। বিচারিক আদালত আবেদন খারিজের পর হাইকোর্টে আবেদন করি। এরপর হাইকোর্ট বিভাগেও আবেদন খারিজ হয়। পরে আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদন করি। আপিল বিভাগও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী বলেন, পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। #