দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে ১৩১ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানের টার্গেট দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথেউ ওয়েড। ব্যাট হাতে প্রথম ওভারে স্টার্কের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। কিন্তু না, পুরো ম্যাচে রানের জন্য ধুঁকতে দেখা গেছে প্রায় সবাইকে।
নাঈম শুরু থেকে সাবলিল থাকলেও সৌম্যর থিতু হতে সমস্যা হচ্ছিল। টাইমিংয়ে হচ্ছিল গড়বড়। ফলে পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। আগের তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না ক্রিজে। জশ হেজেলউডের বল স্টাম্পে টেনে এনে হলেন বোল্ড। জায়গা করে নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সৌম্য।
হেইজেলউডও অনুসরণ করেন এই ওপেনারকে। শরীর তাক করে আসা বল কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি; কিন্তু বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৯ বলে দুই রান করেন সৌম্য।
পাওয়ার প্লেতে ৩৬ বলের ২৩টিই ডট খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ৬ ওভারে বাউন্ডারি এসেছে কেবল চারটি। দুটি করে ছক্কা ও চার- সবই মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট থেকে।
রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টায় বোল্ড হন নাঈম। লেগে সীমানায় তিন ফিল্ডার রেখে বল করছিলেন জাম্পা। লেগ স্পিনারকে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন নাঈম। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি, এলোমেলো হয়ে যায় বেলস। ভাঙে ২২ রানের জুটি। দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৯ বলে ৩০ রান করেন নাঈম।
মন্থর পাওয়ার প্লের পর রানের গতি বাড়াতে ভুগেছে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে বাংলাদেশ করতে পারে মাত্র ৫৮ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব জুটি বেঁধে এগুতে চেয়েছেন। কিন্তু লম্বা হয়নি তাদের যাত্রাও।
ছক্কার পর বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। এগিয়ে এসে ছক্কার চেষ্টায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টাইমিং করতে পারেননি। মিড অফ থেকে অনেকটা পিছিয়ে গিয়ে বলে চোখ রেখে ক্যাচ মুঠোয় জমান মোইজেস হেনরিকস। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। ২০ বলে এক ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দ্রুত রানের চেষ্টায় পরে ফেরেন সোহানও। এই কিপার-ব্যাটসম্যানও বুঝতে পারেননি টাইয়ের নাকল বল। অফ স্টাম্পের বেশ দূরের ওভারপিচড বল মারতে চেয়েছিলেন পয়েন্টের ওপর দিয়ে। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি। সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মিচেল মার্শ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। তিনিও ফেরেন হেজেলউডের বলে বোল্ড হয়ে। স্লোয়ার বল লেগে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। ঠিকমতো পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প। ৩৩ বলে তিন চারে ৩৬ রান করেন সাকিব।
অনেকের চোখ ছিল শামীম পাটোয়ারির দিকে। কিন্তু ঝড় উঠলো না। স্টার্কের কঠিন ইয়ার্কারে উড়ে গেল তার স্টাম্পের বেল। ৩ বলে তিনি করেন ৪ রান। শেষের দিকে আফিফের ব্যাটেই বলতে গেলে মোটামুটি স্কোরে পৌঁছাতে পারে বাংলাদেশ। স্টার্কের ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হওয়া আফিফ করেন ১৭ বলে ২৩ রান। মেহেদী হাসান অপরাজিত থাকেন ৭ রানে।
পুরো ইনিংসে বাংলাদেশ চার হাঁকাতে পেরেছে মাত্র ৮টি। ছক্কা তিনটি। ৫০ রান এসেছে চার ছক্কায়। বাকি রান সিঙ্গেলস ও ডাবলসে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হেজেলউড তিনটি, স্টার্ক দুটি এবং জাম্পা ও টাই নেন একটি করে উইকেট।#