দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
মিথ্যে মামলা দায়েরর সুনিদিষ্ট অভিযোগে অবশেষে ফেঁসে গেলেন সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাল্টা মামলায় বিচারিক আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
আদালত। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কথিত ঘুষ দাবির মিথ্যা অভিযোগে দুদকে একটি মামলা করেছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এরবার ওই মিথ্যে মামলা দায়েরের পুরো খেসারত দিচ্ছেন তিনি। কারণ দুদক উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন বিচারিক আদালত।
দুদকের আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২১ সালে ৭ অক্টোবর আসামী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন। এরপর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাজার রায় দেন বিশেষ জজ আদালত। পরবর্তীতে ওই মামলার রায় বদলে দেওয়ার নামে ও উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ আনেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে। শুধুতাই নয় এমন অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ডিএমপি’র শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। মামলাটি দুদকের সিডিউল ভুক্ত হওয়ায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানা থেকে দুদকে পাঠানো হয়।
টানা দেড় বছরের তদন্তের ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার মামলার অভিযোগের কোনো তথ্য প্রমাণ পায়নি দুদক। পরে এই মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় অপরাধে গত বছরের ২০ ফেব্রæয়ারি ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। দুদকের করা এই মামলাটি তদন্ত করেন আরেক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ।
দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে প্রমাণীত হয়। ওই মিথ্যে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করতে পারবে।#