মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরে একটি মুরগীর ফার্মে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে ১৫ শতাধিক মুরগী, নগদ টাকা, পার্শ্ববর্তী একটি ঘর পুড়ে ১৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার দাবী করেছে। তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে শক্রতাবসত নাশকতা দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ্য ফার্ম মালিক।
জানা যায়, সোমবার (০৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিক জেলার শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মোহন খান তার মুরগীর ফার্মে কাজ শেষ করে পার্শ্ববর্তী নিজ বাড়িতে চলে যান। রাত আনুমানিক ১১ টার দিক মুরগীর ফার্মে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকান্ডে ফার্মে থাকা ১৫ শতাধিক মুরগী, নগদ ২ লাখ টাকা পুড়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও পার্শ্ববর্তী শাহজাদা খানের বসতঘর পড়ে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতিসহ ১৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ্যরা দাবী করেছেন। মুরগীগুলো মঙ্গলবার বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। বিক্রি বাবদ মোহন খান অপর এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা অগ্রিমও নিয়েছিল।
সেই টাকাও আগুনে পুড়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে শিবচর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এই অগ্নিকান্ড শক্রতাবসত কেউ পেট্রোল দিয়ে ঘটিয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীর। রাতেই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুরাবউদ্দিন মাতুব্বরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নের্তৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ী মোহন খান বলেন, আমি রাতে কাজ শেষ করে ফার্ম থেকে বাড়ি চলে যাওয়ার কিছু সময় পরই জানতে পারি ফার্মে আগুন লেগেছে। এসে দেখি পুরো ফার্মে আগুন। বিদ্যুৎ থেকে আগুন লাগলে এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার কথা না। এটা কেউ শক্রতাবসত পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। আগুনে আমার সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
শিরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুরাবউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, ঈদের আগ মুহুর্তে মুরগীর ফার্ম পুড়ে ব্যবসায়ী বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানতে চাই।
একে / ফাতিমা