দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে সামগ্রিকভাবে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। ফলে নগরীতে সত্যিই মশার উপদ্রব বেড়েছে।
তিনি বলেন, মশক নিধনে ডিএনসিসির কাউন্সিলদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। সনাতনী পদ্ধতিতে মনিটরিং করলে এটি চলবে না। তবে ডিএনসিসির (আমাদের) মনিটরিংয়ের যথেষ্ট ঘাটতি আছে। আমাদের এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে এই মনিটরিং হচ্ছে।
শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে মেয়র আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির নতুন এলাকা ভাটারা ও সাতারকুলে (অঞ্চল ৯ ও ১০) চলমান সমন্বিত মশক নিধন অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) পরিদর্শকোলে এসব কথা বলেন। তিনি ভাটারা ১০০ ফুট রাস্তা, বালুর মাঠ, ডুমনি এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ঢালী, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন ইতি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন,মশক নিধনে ডিএনসিসির কাউন্সিলদের সনাতনী পদ্ধতিতে মনিটরিং করলে মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। সিটি করপোরেশনের মশক কর্মী, মশক সুপারভাইজার, যারা দেখাশোনা করে তাদেরও ঘাটতি আছে।
মেয়র আরো বলেন, এবার বুঝতে পেরেছি মশক নিধন অভিযানটিকে আধুনিকায়ন করতে হবে। জনসাধারণকে আমাদের সচেতন করতে হবে। সচেতনতার অনেক ঘাটতি আছে। এ ছাড়া আমরা কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে আলোচনা করছি নতুন ভাবে ওষুধ প্রয়োগ করার। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মশার অভিযান করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মশা একদিন বা দুই দিনে হয়নি। আমরা মনে করি, বর্তমানে কাউন্সিলররা যেভাবে সকাল থেকে কাজ করছে, মশক কর্মীরা যেভাবে কাজ করছে আপনার দেখেছেন, আমি নিজে চেষ্টা করছি, প্রত্যেকটি জায়গায় যাওয়ার জন্য। এ রকম না যে, আমি একটিতে যাওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে আছি। তা কিন্তু করছি।
আমরা শতভাগ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা কিন্তু কেউ ঘরে বসে নেই, কার্যালয়ে বসে নেই। সারা দিন মাঠ পর্যায়ে সবার সঙ্গে আছি। নিজেরা মাঠপর্যায়ে এসে মশক নিধন প্রক্রিয়া যে পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে হবে—এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
মেয়র বলেন, কাউন্সিলরদের আরো কঠিনতর হতে হবে। কাউন্সিলর নিজেরা মনিটরিং করবে। আমাদের কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছে কি না। কাউন্সিলরদের তালিকা করতে হবে কোথায় কোথায় ডোবা আছে।
আমি একটি জিনিস দেখে অবাক হয়ে গেছি যে, কাউন্সিলরের কার্যালয়ের পেছনেই ডোবা। তাকে বললাম, ডোবার মধ্যে কেন যাওয়া হয়নি। কাউন্সিলরদের বলব, নিজ নিজ এলাকা ম্যাপিং করার জন্য। ডোবার বিরুদ্ধেও অভিযান করা হবে। এই অভিযান আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।/ প্রেস বিজ্ঞপ্তি