দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশক নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক স্প্রেম্যান সুপারভাইজারকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্ব নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকালে গুলশানের নগর ভবনে স্প্রেম্যান সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসগুলোতে ইতোমধ্যে মশক নিধন কর্মীদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই মশক নিধন কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করা হবে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমবারের মতো ডিএনসিসিতে আজ ৫৪জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্প্রেম্যান সুপারভাইজারগণ তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যেকটি অঞ্চলের মশক নিধন কর্মীদেরকে হাতে-কলমে শেখাবেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কেউ ফাঁকিবাজি করলে কিংবা কারও বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, প্রয়োজনে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। তিনি বলেন, সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নগরবাসীর কল্যাণে সকলকে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। ডিএনসিসি মেয়র প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা শেষে স্প্রেম্যান সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ২৭শে জুলাই থেকে এপর্যন্ত ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক (কীটতত্ব) কবিরুল বাসার, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।