দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন” প্রকল্পের ৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই প্রকল্পের পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২১ অক্টোবর) দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোঃ সহিদুর রহমান বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জে মামলাটি দায়ের করেন।আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
দুদকের মামলায় ১১ আসামি হলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল , ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা , জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সালাম। এছাড়া ওই প্রকল্পের সাবেক পরিচালক (তত্তাবধায়ক) প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম , সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (মৌলভীবাজার যান্ত্রিক পওর বিভাগ) মোঃ আনিছুর রহমান, তিনি বর্তমানে- নির্বাহী প্রকৌশলী, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউস) বিভাগ, শিমরাইল, নারায়ণগঞ্জে আছেন।
অপর আসামিরা হলেন, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মোঃ আবু তালেব, তিনি বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঢাকা তেজগাঁও কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক সার্কেলে আছেন, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউজ) নারায়নগঞ্জের এ ম গোলাম সরওয়ার ,তিনি বর্তমানে তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী ড্রেজার অপারেশন সার্কেল খুলনায় আছেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও নকশা সার্কেল-৩ (যান্ত্রিক) এর মোহাম্মদ আব্বাছ আলী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) ডিজাইন সার্কেল-৬ বাপাউবোর মো: আব্দুল বাছিত, সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন, তিনি বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) চাঁদপুর যান্ত্রিক উপ-বিভাগ (বিদ্যুৎ) কর্মরত, সাবেক তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলম, তিনি বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক সরঞ্জাম বাপাউবো) তেজগাঁও, ঢাকায় কর্মরত আছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তা করেছেন এবং নিজেরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে লাভবান হয়েছেন। আসামিরা “মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন” প্রকল্পের জন্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পাম্প ক্রয় করেছেন। তারা সরকারের ৩৪ কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করেছেন এবং উক্ত অর্থ নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন।
যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদক ২০১৯ সালে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান শুর করে আজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। #