দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ভয়ঙ্কর অপরাধী নূর নাজমা আক্তার লুপা তালুকদার কে (৪২) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকা থেকে ফুল বিক্রেতা জিনিয়াকে (৯) অপহরণের ঘটনায় ঢাকা সিএমএম আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, শিশু অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার লুপা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকের লেবাস লাগিয়ে নানা অসৎ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আত্মসাৎ, মাদকসহ নানা ধরনের প্রতারণার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলতেন। সেগুলো ব্যবহার করে নিজেকে প্রভাবশালী দেখিয়ে নানা অপরাধমূলক কাজ করতেন বলেও জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত ৮ সেপ্টেম্বর লুপাকে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. শাহজাহান মিয়া।
অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষ বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর অপহরণের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে জিনিয়াকে তার মায়ের জিম্মায় দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়া।
গত ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিনিয়াকে উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) রমনা বিভাগ।
এ সময় নূর নাজমা আক্তার লুপা তালুকদারকেও (৪২) গ্রেফতার করে ডিবি। তাকে গ্রেফতারের পর ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, লুপা তালুকদার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জিনিয়াকে অপহরণ করেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, জিনিয়া ঢাবির টিএসসি চত্বরে ফুল বিক্রি করত। ছোটবেলা থেকেই মা সেনুরা বেগমের সঙ্গে টিএসসিতে থাকতো সে। তিনি গত ২ সেপ্টেম্বর জিনিয়ার নিখোঁজের বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির সূত্রে গোয়েন্দা রমনা বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যমতে জানা যায়, দুজন নারী তাকে ফুচকা খাওয়ান এবং টিএসসি এলাকায় তাকে নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। একপর্যায়ে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান। #