দূবীণ নিউজ ডেস্ক :
ভারতের উত্তরপ্রদেশ হরদই অঞ্চলের বাসিন্দা রাধিকা গুপ্তা নামের এই নববধূ বন্দুক নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে মারা গেলেন। অসতর্কতায় বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে মুহূর্তেই তার মাথার খুলি উড়ে যায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ওই তরুণীর শখ ছিল সাহসী কিছু করে দেখানোর। তাই থুতনিতে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে সেলফি তুলছিলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশ হরদই অঞ্চলের বাসিন্দা রাধিকা গুপ্তা।
রাধিকার শ্বশুর রাজেশ গুপ্তা জানান, তার ছেলে আকাশ গুপ্তার সাথে রাধিকার বিয়ে হয় চলতি বছরের মে মাসে। সাহস দেখানোই কাল হলো রাধিকার।
শ্বশুরের গুলিভর্তি বন্দুক নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ওই তরুণীর। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যের হারদুই অঞ্চলে। কিন্তু কীভাবে চলে গেল বন্দুকের গুলি?
জানা গেছে, থুতনিতে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে সেলফি তুলছিলেন উত্তরপ্রদেশ লখনউয়ের হরদই অঞ্চলের বাসিন্দা রাধিকা গুপ্তা।
একটা হাত মোবাইলের কিপ্যাডে থাকলেও ছবি তোলার সময় তরুণীর অপর হাত ছিল বন্দুকের ট্রিগারে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। অসাবধানতা বশত চাপ পড়ে যায় ট্রিগারে। গুলি বেরিয়ে সোজা তরুণীর মাথায় লাগে।
শ্বশুরের বন্দুক নিয়ে এই সেলফি স্ট্যান্ট করছিলেন রাধিকা। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণী প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের পোজে সেলফি তুলতে পছন্দ করতে বলে জানা গেছে। সেলফি তোলার সময় সাহসী কিছু করতে গিয়েই দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হলো তার।
রাধিকার শ্বশুর রাজেশ গুপ্তা জানান, এই বন্দুকটি তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ১২-বোর একনলা বন্দুকটি থানায় জমা রাখতে হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার ছেলে আকাশ সেটি বাড়িতে ফেরত আনে। বাড়ির দোতলায় রাখা ছিল।
ওইদিনই বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির সদস্যরা গুলির শব্দ শুনতে পান। রাধিকার ঘরে পৌঁছে দেখেন তিনি রক্তে ভাসছেন। হাতে রয়েছে সেই একনলা বন্দুকটি। সামনে তার মোবাইলটি পড়ে থাকতে দেখেন সকলেই। সেখানেই বন্দুকসহ রাধিকার সেলফি দেখা যায়। এতে ধারণা করা হয়, সেলফি তোলার কারসাজি করতে গিয়েই এই মর্মান্তিক পরিণতি।
সূত্র : এই সময়