দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিম বঙ্গে টানা তৃতীয়বারের মন্ত্রীসভা গঠনের মাধ্যমে চমক দেখালেন তৃণমূল কংসেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের মন্ত্রীসভায় বহু দায়িত্বে রদবদল হয়েছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, অন্তত আটটি দফতর নিজের হাতেই রেখেছেন মমতা।
আজ সোমবার (১০ মে) রাজ্যের মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বন্টনের যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে তার হাতে আগে যে দফতরগুলি ছিল সেগুলিকে ধরে রেখেই বাকি দপ্তর মন্ত্রীদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর মমতা নিজের হাতে রেখেছেন, স্বরাষ্ট্র ও পাহাড়, কর্মীবর্গ ও প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, উদ্বাস্তু ও ত্রাণ এবং তথ্য-সংস্কৃতি। শুধু তাইই নয়, এবারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরকেও মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছেন।
পার্থ,অমিত, ব্রাত্য, সুব্রত, ফিরহাদ তার পঞ্চপাণ্ডব। প্রাথমিক ভাবে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ফের প্রত্যাবর্তন করছেন অমিত মিত্র। শিল্প, বাণিজ্য তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে পঞ্চায়েত ও গ্রামউন্নয়ন দপ্তর থাকছে।
অরূপ বিশ্বাস পাচ্ছেন বিদ্যুৎ। ফিরহাদ পাচ্ছেন পরিবহণ। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত থেকে বার হয়ে যাচ্ছে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর। তিনি পাচ্ছেন বন দপ্তর। পরিবর্তে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর পাচ্ছেন রথীন ঘোষ।
পাশাপাশি অমিত মিত্র রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি বাড়তি দায়িত্ব পাচ্ছেন পরিসংখ্যান ও যোজনা এবং পরিকল্পনা দপ্তরের। সুব্রত মুখোপাধ্যায় গ্রামউন্নয়ন ও পঞ্চায়েতের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এবং শিল্প পুনর্গঠনের দায়িত্ব পাচ্ছেন। সাধন পাণ্ডে তার ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর ধরে রেখে বাড়তি দায়িত্ব পাচ্ছেন স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বন দপ্তরের পাশাপাশি পাচ্ছেন অপ্রচলিত ও পুনর্যোগ্য শক্তির দপ্তর। বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা পাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তর।
নব গঠিত রাজ্য বিধানসভার শাসকদলের মুখ্য সচেতক হচ্ছেন নির্মল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বলেন, তাপস রায় কে উপ মুখ্য সচেতক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সব সদস্য রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তাদেরকে বিভিন্ন কমিটিতে রাখা হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।
# সূত্র: জি নিউজ।