দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদন :
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, এখন ধানের ভরা মৌসুম। নতুন ধান উঠবে, চালের দাম কমবে এটাই স্বাভাবিক। ধানের দাম কম হওয়ার কারণে চালের দামও কমার কথা। তিনি চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়িয়ে দেবেন আর সরকার ধরপাকড় করবে না, এটা কি হয়।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ‘নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ, সরবরাহও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ক্ষোপ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এফবিসিসিআই সভাপতিকে চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা অভিযোগ করে বলেন ‘আমাদের (চাল ব্যবসায়ী) হয়রানি ও ধরপাকড় করা হচ্ছে।
এরপর এফবিসিসিআই সভাপতি চাল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়িয়ে দেবেন আর সরকার ধরপাকড় করবে না এটা কি হয়। এখন ধান উঠছে, দাম কমছে এ অবস্থায় চালের দাম কমার কথা। আপনি-আমি ব্যবসা করে খায়, ব্যবসা করবো। তার মানে কেজিতে ১০/১৫ টাকা বাড়াবেন এটা কি হয়।
তিনি বলেন, আপনি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেশিন আনছেন এতে খরচ কমার কথা, তাহলে দাম কেনো বাড়বে ভাই। বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন পোলাও চালের, সেখানে মিনিটে ৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আপনারা উল্টো চালের দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি নিজেও বাজার পরিদর্শনে যাবো।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আপনারা কেন চাল মজুত করেন? এসময় চাল ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন কোনো মজুত হয়নি। জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আপনারা যদি মজুত না করে থাকেন তাহলে অভিযানের পর দাম কমে বা কমলো। এখন কেন চালের দাম বাড়বে, অভিযানের পর কেন কমবে। তার মানে আমরা মজুত করেছি।
তিনি বলেন, আসলেই সংকট না, সবার কাছে চাল আছে। ৫/১০ শতাংশ ধান নষ্ট হয়েছে এখনই কেন দাম বাড়বে, এটাতো আরও সাত মাস পরে দাম বাড়বে। সু্যোগ পেলেই দাম বাড়বে এটা সরকার বা আমরা কেউ সহ্য করবো না। চাল ব্যবসা করে গুলশানে বাড়ি করছে, বিভিন্ন স্থানে আরও ৮/১০টি করে বাড়ি আছে, আবার বলছেন লোকসান।
জসিম উদ্দিন বলেন, খারাপ ভালো হুজুরদের মধ্যেও আছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আছে। পেঁয়াজ আমদানি ভারত থেকে কমার পর দিনই ১০/১৫ টাকা কেজিতে দাম বেড়ে গেলো। অথচ আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়বে আরও পরে কিন্তু দাম বাড়িয়ে দিলো আমাদের ব্যবসায়ীরা।
তিনি বলেন, এখানে কিছু হলে তার দায়ভার আপনাকেও নিতে হবে। আমি ২৮টি সেক্টর নিয়ে ব্যবসা করি, সেখানে কিছু হলে দায়ভার নিতে হবে।এখানে কিছু হলে তার দায়ভার আপনাকেও নিতে হবে। আমি ২৮টি সেক্টর নিয়ে ব্যবসা করি, সেখানে কিছু হলে দায়ভার নিতে হবে।
এখন ডিজিটাল যুগ, পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৯০ মিলিয়ন, এখন ৪১৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য। এখন আর আহের অবস্থায় নেই দেশ। মিলারদের বলবো আপনারা ডিলারদের তালিকা দেন, এতো বলার পরও কেন দেন না। আমার ডিলারদের নাম কয়েক সেকেন্ডে চলে আসে আপনাদের কেন দেন না। #