দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
করোনাভাইরাসে মৃত লাশ দাফনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাধা দেয়া হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে অবশেষে দাফন করা হয়েছে। তার লাশ পৌর এলাকার খাজানগর কবরস্থানে দাফন করতে গেলে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এক পুলিশ কনেস্টবল আহত হয়েছেন।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ও কাশি নিয় ইব্রাহিমপুর গ্রামের ৮০ বছর বয়স্কা ওই নারী ইন্তেকাল করেন। এরপর তার লাশ নবীনগর সরকারি হাসপাতালে আনা হলে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরে নবীনগর সরকারি হাসপাতালের সামনে জানাজা শেষে শনিবার বিকেলে খাজা নগর কবরস্থানে দাফন করতে নিয়ে যাওয়া হলে ওই কবরস্থানে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে মৃত লাশ দাফন করতে দিবে না বলে বাধা প্রদান করে এলাকাবাসী।
এ নিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মাঝে সংঘর্ষ বেধে গেলে জনতার নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে ফারুক হোসেন নামে নবীনগর থানার এক কনেস্টবল গুরুতর আহত হয়ে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ ওই এলাকায় উপস্থিত হলে উত্তেজিত জনতা সরে যেতে বাধ্য হয়। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির নিজে কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যায় খাজা নগর কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
নবীনগরন থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন জানান, প্রথমে এলাকাবাসী বাধা দিয়েছিল, তখন আমাদের এক কনেস্টবল আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীনগর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, এসিল্যান্ড এবং ওসি সহ আমরা খাজানগর কবরস্থানে ওই মহিলার লাশ দাফন করার নেয়া পর এলাকাবাসী বাধা প্রদান করে ঢিল ছুড়তে থাকে। পরে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রে এনে দাফনের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মোশরাত ফারখান্দা জেবিন জানান, জাহানারা বেগম বিশ বছর যাবৎ শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন, তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করেছেন। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা। # কাশেম