দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
চীনের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং । মঙ্গলবার (২৬ মে) চীনের প্রেসিডেন্ট সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দৃশ্যমান জানিয়ে সেনাবাহিনীকে দৃঢ়ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন ।
যদিও তিনি কোনো বিশেষ দেশ বা প্রতিপক্ষের নাম করেননি। কিন্তু ভারত ও চীন সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
৬৬ বছরের এই রাষ্ট্রনায়ক বেইজিংয়ে চলতে থাকা সংসদীয় অধিবেশনের সময় ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ ও ‘পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্স’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও যেকোনো জটিল পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন চীনা সেনাবাহিনীকে। সেদেশের ‘জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি’-র প্রতিবেদন থেকে একথা জানা গিয়েছে। তবে তিনি চীনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কোনো বিশেষ ইস্যুর কথা উল্লেখ করেননি।
গত কয়েক দিন ধরেই লাদাখ ও উত্তর সিকিমের প্রকৃত সীমান্তরেখায় ভারত-চীন সেনা ব্যাপকভাবে মোতায়েন হয়েছে। আর এর ফলে উত্তেজনার পারদ ক্রমশই চড়ছে।
তবে শুধু ভারত নয়- মার্কিন সেনার সঙ্গেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চীনা সেনাবাহিনীর। মার্কিন নৌবাহিনীকে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করেও উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে চীন ও আমেরিকার।
এদিকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তরেখায় তৎপর রয়েছে ভারত। তাদের দাবি, ভারত বরাবরই সীমান্তের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত নিজ দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, ৫ মে ২৫০ চীনা সেনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে। ওইদিন ভারতীয় ও চীনা সেনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল লোহার রড, লাঠি নিয়ে। এমনকি পাথর ছোড়াও হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন উভয়পক্ষের সেনারাই। # সূত্র -এনডিটিভি