দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেঙ্গল গ্রæপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু ও তার স্ত্রী মহুয়া খায়েরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার গত ২৩ মার্চ তাদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশের প্রেক্ষিতে খায়ের দম্পতি দুদকে সম্পদের হিসাব জমা দেন। বর্তমানে প্রাপ্ত সম্পদের তথ্য যাচাই বাচাই এবং হিসেব মিলাছে দুদক।
রোববার (১২ জুন) বেঙ্গল গ্রæপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর দাখিল করা সম্পদ যাচাইয়ে উপ পরিচালক মো.মোনায়েম হোসেনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে দুদক। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।
দুদক সূত্রমতে, বেঙ্গল গ্রæপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু ও তার স্ত্রী মহুয়া খায়েরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা পৃথক নোটিশে আবুল খায়ের লিটু ও তার স্ত্রী মহুয়া খায়েরের স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়।
গত ২৩ মার্চ তাদের গুলশানের বাসার ঠিকানায় পাঠানো নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে, আপনারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তাই নিজ ও আপনাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে- বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায় দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন। এ আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও জানা যায়, সম্পদের নোটিশ দেওয়ার পর গত সপ্তাহে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন তারা। ওই সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করার জন্য ১২ জুন (রোববার) অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। #