দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সনাতনী পদ্ধতিতে নগরীতে মশা নিয়ন্ত্রণে অনা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এই সনাতনী পদ্ধতিকে কিভাবে আধুনিকীকরণ করা যায়, সেই বিষয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। নগরীতে সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দুই দফায় মশক নিধনের অভিযান চলছে। মাঝে দুই ঘন্টা বিরতরি রয়েছে।
রোববার (১৪ মার্চ)রাজধানীর উত্তরা ও নিকুঞ্জে চলমান সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা করেন।
আজকের অভিযানকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আফসার উদ্দিন খান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ইসহাক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, আসন্ন মৌসুমে বৃষ্টিপাতের ফলে নগরীতে এডিস (ডেঙ্গু) মশার উপদ্রব বাড়তে পারে। “গতকাল শনিবার নগরীতে বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি হলে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ে।ফলে
তিনি বলেন,এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ আরেকটি চ্যালেঞ্জ শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে কিউলেক্স মশা নিধনের অভিযান চলছে। এই অভিযানের পরই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিযান শুরু হবে”।
উত্তরায় ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিদর্শনকালে আতিকুল ইসলাম বলেন, “গত ৭দিন আমি বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। মশক নিধন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। মশক নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান সনাতনী পদ্ধতি থেকে আমাদেরকে আধুনিক পদ্ধতিতে যেতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে যাওয়ার জন্য চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন নিয়ে এসেছি।
মেয়র আরো বলেন, “আমরা গতকাল চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছি। সেখানে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মশা, মশা আর মশা। এটি একটি ব্যক্তিগত জায়গা। আমি বারবার বলছি ঘরের ভেতরের যেমন পরিষ্কার করতে হবে, ঘরের বাইরেও পরিষ্কার করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা মাঠে ময়দানে দেখছি”।
মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই পদ্ধতিগত পরিবর্তন করতে হলে মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিং করতে হবে। মশক নিধন কর্মীদের হাজিরা এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে হচ্ছে। এজন্য বায়োমেট্রিক ট্র্যাকার দরকার। আমরা শিগগিরই বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করব”।
আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, “নতুন ওয়ার্ডগুলোতে প্রচুর খাল-বিল জলাশয়, ডোবা-নালা আছে। এগুলো কচুরিপানায় ভর্তি। পুরো সিস্টেমকে ঠিক করতে হলে সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনা (আইভিএম) করতে হবে। আমরা একদিনও বসে নেই। বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ।/ প্রেস বিজ্ঞপ্তি