দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন,‘অবৈধ দখলদারদের বিনা নোটিশেই উচ্ছেদ করা হবে।’ অবৈধ দখলদারদের নামে কখনো বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না। অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২ জুন) রাজধানীর মিরপুর-১৪ এলাকায় বাউনিয়া খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান সরেজমিনে পরিদর্শনকালে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।
ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম সাইদুর রহমান, ডিএনসিসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জামাল মোস্তফা, উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ভূঁইয়াসহ ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘খালটি ৬০ ফুট প্রশস্থ থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা নেই। এর আগে একাধিক বার চেষ্টা করেও খালটি উদ্ধার করা যায়নি। তাই আজ বিনা নোটিশেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক নগরীর খাল ও নদীগুলো উদ্ধার করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক নগরীর খাল ও নদীগুলো উদ্ধার করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। যারা অবৈধভাবে খাল ও নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল ও নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।’
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জমিগুলো উদ্ধার করে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।’
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত ৩টি জলাধারের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু জলাধারের জন্য নির্ধারিত জমির অধিকাংশই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।
ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২ বছরের মধ্যেই নগরবাসী এর সুফল পাবে। আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী বলেই পহেলা জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।’
#