নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিনকে উন্নয়ন কাজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নারগিস সুলতানা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিটিসিএল’র এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু রফিকুল মতিন দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যান। দুদক থেকে দুপুরে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নেরই জবাব দেননি তিনি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি একনেকে অনুমোদন পায় ‘ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (এসটিএন)’ শীর্ষক প্রকল্পটি। ওই বছরের ১০ জুন দরপত্র দলিল ও দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় প্রস্তুতের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহŸান করা হয়। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়।
৭ সদ্যস্যের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে এক্স-ফারকে একমাত্র যোগ্য ও সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করে। তবে পুনঃদরপত্র আহŸানকে কেন্দ্র করে কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়। কমিটিতে থাকা বিটিসিএলসহ সরকারি কর্মকর্তারা পুনঃদরপত্র আহŸানের সুপারিশ করেন।
আরও অভিযোগ রয়েছে, মূল্যায়ন প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি পৃষ্ঠা নম্বর হাতে কেটে অতিরিক্ত দুই পাতা সংযোজন করেন তারা। কাটছাঁটের বিষয়টি গোপন করতে বোর্ড সভায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন ছাড়া শুধু কার্যপত্র উপস্থাপন করা হয়। সভায় বহিঃসদস্যরা দরপত্র বাতিলের বিপক্ষে ও বিটিসিএলসহ সরকারি কর্মকর্তারা বাতিলের পক্ষে মত দেন। পরের বোর্ড সভায় দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে ক্রয় আইন, বিধি ও দরপত্র দলিলের শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। এরপর দরপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করে একমাত্র যোগ্য প্রতিষ্ঠানটি।
অপরদিকে, আপিল নিষ্পত্তির আগেই ২০২১ সালের নভেম্বরে পুনঃদরপত্র আহŸান করে বিটিসিএল। পুনঃদরপত্রের ভিত্তিতে জিটিইকে কার্যাদেশ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে সেটিও বাতিল করে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। এসব অভিযোগ যাচাই বাছাই করার জন্যই বিটিসিএল’র এমডি রফিকুল মতিনকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।#