দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ আদেশের ফলে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিচারিক বিশেষ জজ আদালতে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম এখন আবার চলবে।
রোববার (৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গছিত হাইকোর্ট বে এ আদেশ দেন। রোববার আদালতে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
এর আগে ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, তার স্ত্রী ও দুই ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অপর তিন আসামি হলেন আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা, দুই ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী।
আসামিরা আগ্রাবাদ শাখার এবি ব্যাংক থেকে ৩২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ঋণ পরিশোধ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক ঢাকার উপপরিচালক মো. মোশারফ হোসাইন মৃধা ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আদলতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন।
এদিকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ রয়েছে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ভারতের দিল্লি ও আগ্রার তাজমহল এলাকায় ২০১৬ সালে মোসাদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা।
ইসরায়েলি লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের ছবি ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সাফাদি ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান। এসব অভিযোগে আসলামকে ২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় ঢাকার কুড়িল থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। #