বিশেষ প্রতিনিধি, দূরবীণ নিউজ :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে পুলিশ। বিএনপিকে নির্মূল করতে সরকার মরিয়া। তারা লোক সমাগম দেখলেই ভয় পায়। তাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে হাজার হাজার লোকের সমাগম দেখে ভীত হয়ে এ হামলা করেছে।
আজ বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কেরানিগঞ্জে দোয়া ও আলোচনা সভায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।
অনু্ষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, নাজিম উদ্দীন মাস্টার, জেলা বিএনপির নেতা জয়নাল আবেদিন বাবুল, মোসাদ্দেদ আলী বায়ুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
রিজভী আরও বলেন ক্ষমতায় টিকে থাকতে সর্বোচ্চ নিপীড়ন নির্যাতন করছে সরকার। গতকাল পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে রক্তাক্ত করে উল্টো বিএনপির নেতাদের মামলা করছে। আটক করছে। পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত মহানগর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম ও দলের সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন সিরিজ বোমা হামলায় বিএনপি জড়িত নয় বরং সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগষ্টের হামলায় আওয়ামিলীগ জড়িত। তৎকালীন বিএনপি সরকারকে বেকায়দায় ফেলাতে আওয়ামী লীগ এসব হামলা করেছিল। শুধু তাই পিল খানায় বিডিআরের তরুণ অফিসারদের হত্যায়ও আওয়ামিলীগকে দায় নিতে হবে।
তথ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন অত্যন্ত চক্রান্ত করে ১৫ আগষ্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমানকে সামনে আনছে সরকার। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তাকে নিয়ে আমরা লজ্জিত হবে না বরং তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশবাসীও গর্ববোধ করে।
একটি জাতীয় দৈনিকে পরিকল্পিতভাবে প্রবন্ধ লিখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ৪০বছর পর কেন ‘আনট্র্যাঙ্কুয়েল রিকালেকশন’ বইয়ের উদৃত্তি দিয়ে কেন এ প্রবন্ধ লেখা হচ্ছে মানুষের তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। এটি গভীর চক্রান্তেরই অংশ।
গুম খুনের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতিসংঘের পর এবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গুম হওয়াদের অবিলম্বে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবং জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত দাবি করছে। আমি দলের পক্ষ থেকে আহবান জানাচ্ছি অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন।অন্যথায় এর পরিণাম ভাল হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির জড়িত সদস্যরাও ছাড় পাবেন না। গুম খুনের বিচার একদিন হবেই।
প্রধানবক্তা হিসেবে ডাকসুর সাবেক এজিএস খায়রুল কবির খোকন বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি নির্বাচনে কোনদিন পরাজিত হননি। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে গৃহবন্দী। তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাই নেত্রীকে মুক্ত করতে গনতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।
এডিজেড/একে/ দূরবীণ নিউজ।