দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বিআরটিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে সিএনজিচালিত ফোর স্ট্রোক বেবিট্যাক্সি বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির মামলা বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি স্থায়ীভাবে বাতিল হয়ে গেল বলেছেন তার আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানি নিয়ে
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদন খারিজ করে আদেশ জারি করেছেন।
আজ আপিল বিভাগে শুনানিতে দুদককের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।আর আসামি তৈমুর আলম খন্দকারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭ হাজার বেবিট্যাক্সি চালকের মধ্যে দুইশ ফোর স্ট্রোক অটোরিকশা বিতরণ করা হয়। আর এই বিতরণে অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রের এক কোটি টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৯ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খোকন।
মামলায় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, বিআরটিসির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারসহ ৯জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় তদন্ত শেষে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১১ মে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। আর নাজমুল হুদাসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি আমলে নেন। পরবর্তীতে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তৈমুর আলম খন্দকার। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলাটি বাতিল করে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। যেটি আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন বলে জানান তৈমুর আলম খন্দকার।/