দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার মামলায় আসামি মহিউদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন। আসামিদের মধ্যে মহি উদ্দিন এতোদিন পলাতক ছিলেন। পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে আসামি মহিউদ্দিন হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এই আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বিস্তারিত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় রেনুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন।
২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আসামি মহিউদ্দিন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।/