দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান ও নতুন সৃষ্ট দারিদ্র্য উত্তোরণে কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণীর জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেছে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন।
সোমবার (৮ জুন) ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের এক সভা থেকে সরকারের প্রতি এ দাবী জানানো হয।
সংগঠনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া মূল বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সমন্বয়ক মো. মহসিন ভুইয়া’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। যুক্ত ছিলেন বিভাগীয় সমন্বয়কারীগন।
নেতৃবৃন্দ ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট বাজেটের ৭ শতাংশ বরাদ্দ প্রদান ও কৃষিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করা, সরকারের খাদ্য মজুদ করার সামর্থ্য বৃদ্ধি করা, অতি দরিদ্র মানুষের জন্য করোনা পরবর্তী ৬ মাস খাদ্য সহায়তা চালু রাখা, বাজেটে সারের ভর্তুকি কমিয়ে কৃষকদের নগদে ভর্তুকি প্রদান করা, কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন গঠন করা, দূর্যোগকালীন সময়ে কৃষি বাজার ও মূল্য ব্যবস্থাপনার জন্য বহু- মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি গঠন করার দাবি জানান।
তারা বলেন, এই দুর্দিনে আমাদের একমাত্র আশ্বস্থ হওয়ার জায়গা হলো কৃষি। প্রধানমন্ত্রীও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এই খাতে। আমরা মনে করি আমাদের দেশের কৃষক সবসময় বঞ্চিত হচ্ছেন। এই মুহূর্তে কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হলে কৃষকের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, ভাসমান শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ ও সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করার আহ্বান জানান। একই সাথে প্রকৃত শ্রমিকদের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যাচাই বাছাই শেষে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, কর্মহীন শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে জামানত ছাড়া আইডি কার্ড ও ব্যক্তিগত গ্যারন্টি নিয়ে ২ বছরের মধ্যে পরিশোধের জন্য সুদবিহীন সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ঋণ প্রদানের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ পাশাপাশি প্রবাসে ইন্তেকাল করা রেমিটেন্স যোদ্ধাদের মধ্যে যারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও লোনে জর্জরিত তাদের পরিবারকে এককালীন অনুদান প্রদান, করোনার কারণে কর্মহীন হওয়া প্রবাসীদের সহজ শর্তে লোন দেয়া, পাসপোর্ট, ভিসা জটিলতা দূর করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া ও দেশে আটকে পরা প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের ব্যবস্থা করতে দাবি জানান। # পেস বিজ্ঞপ্তি ।