দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
খুলনা বিভাগে বাগেরহাটের শরণখোলায় এক স্ত্রীর দুই স্বামী । অবশেষে ওই স্ত্রীকে নিয়ে প্রচন্ড সংঘর্ষ ও মারামারিতে প্রথম (সাবেক) স্বামী শাহ আলম বিশ্বাসের (৪৮) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি খুলনা বিভাগের বাগেরহাটের শরণখোলায়।
জানা যায়, ২২ জুলাই রাতে শাহ আলমকে হাতুড়িপিটা করে গুরুতর জখম করেছে তার স্রীর দ্বিতীয় স্বামীর লোকজন। পরে গত ১ আগষ্ট দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক স্বামী শাহ আলম বিশ্বাস (৪৮) মারা যায়।
এদিকে নিহত শাহ আলমের লাশের ময়না তদন্ত শেষে এ ঘটনায় ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে নিহতের ছোট ভাই ফারুক বিশ্বাস জানান।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানায়, প্রায় দেড় যুগ আগে উপজেলার পশ্চিম কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে শাহ আলম বিশ্বাসের সাথে পার্শ্ববর্তী খাদা গ্রামের মানিক হাওলাদারের মেয়ে নুপুর বেগমের (৩৮) কে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিনটি সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি নুপুর পরকীয়ায় জড়িয়ে শাহ আলমকে তালাক দিয়ে প্রতিবেশি উপজেলার রায়েন্দা বাজারের পাঁচ রাস্তার মোড় এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আঃ রহমান হাওলাদারকে বিয়ে করেন।
এ ঘটনায় শাহ আলম বিশ্বাস ক্ষিপ্ত হয়ে ২২ জুলাই রাতে রহমান হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করেন। ওই সময় আঃ রহমানের আত্মীয়রা একজোট হয়ে ওই রাতেই শাহ আলমকে হাতুড়িপিটা করে গুরুতর জখম করেন।
স্থানীয়রা তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ১ আগষ্ট রাত আনুমানিক পৌনে দশটার সময় আহত শাহ-আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ।
শরণখোলা থানার ওসি এস.কে আব্দুল্লাহ আল-সাইদ জানান, হামলার ঘটনায় রহমানের পক্ষে একটি মামলা হয়েছে। তবে, শাহ আলম বিশ্বাসের পক্ষে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। #