দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বাংলাদেশ বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে অবাক করে দিয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ’র মেজবান হলে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা করেন।
মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ কম হওয়ার পরও ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলা করে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যেটি বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকেও অবাক করে দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ ও আলু উৎপাদনে সপ্তম। অথচ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৯২তম।
এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব, কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও আমাদের কৃষকসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর পরিশ্রমের কারণে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে আমরা অনেক আগেই পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি।
মানব উন্নয়ন ও সামাজিক সূচকে ভারতকেও অনেক আগে অতিক্রম করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রেও ভারতকে অতিক্রম করেছি। এটি চাট্টিখানি কথা নয়।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে পৃথিবীতে মাত্র ২০টি দেশে পজিটিভ জিডিপি গ্রোথ হয়েছে। সেই বিশটির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
মহামারির মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ২০০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এটিও সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে।’
বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের আত্মিক উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়ন দিয়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হয় না। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের আত্মিক উন্নয়ন প্রয়োজন। সেটি করতে হলে মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ, দেশাত্ববোধ ও মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটাতে হবে।’
রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮২ আয়োজিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. তৈয়ব।
এতে বক্তব্য দেন- রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি পিডিজি কেএম জয়নুল আবেদীন, জেলা গভর্নর ড. বেলাল উদ্দিন আহমেদ ও রোটারিয়ান ফাতেমা জেবুন্নেছা প্রমুখ।#