দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে নতুন আরো দু’জন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫১। কোভিড–১৯ বিষয়ে এখন পর্যন্ত, ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯০৬টি ফোন পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনয় আক্রান্ত দু’জনই পুরুষ। তাদের একজন সৌদি ফেরত বয়স ৫৭ বছর। দ্বিতীয়জনের বয়স ৫৫ বছর। তবে দ্বিতীয় জনের বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। তার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
আর আগে করোনা ভাইরাস শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের একজনের বয়স ৭০ বছর, চারজন ৩০–৪০, একজন ৪০–৫০ বছরের মধ্যে। সুস্থ হয়ে যাওয়া লোকজনের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুইজন নারী। তাদের একজন নার্স।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, গত কয়েক দিনে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। সৎকারের আগেই যাঁদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাঁদের কারোরই কোভিড–১৯ ছিল না। তিনি মৃত্যু হলেই কোভিড–১৯ ভেবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির রোগই যেন অশনাক্ত থেকে না যায়, সেদিকে তাঁদের নজর আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর ১৬০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষা হয়েছে ১৪০ জনের।
দেশে ২৮ জায়গায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা হবে:
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৭০টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এখন পর্যাপ্ত মজুদ আছে। দেশি–বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে নিয়মিত পিপিই দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা যেন নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। আরও বলা হয়, যাঁরা ব্যক্তিগত রোগী দেখতেন না, তাঁরা আর দেখছেন না। সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সুরক্ষা নিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রাখবেন।
আইইডিসিআর আজ আরও বলেছে, কোয়ারেন্টিন শেষ হলেই একজন মানুষ সাধারণ নাগরিকের মতো জীবন যাপন করতে পারেন। তাঁরা অতিরিক্ত কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি করেন না। তাঁদের সঙ্গে কেউ যেন শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ না করেন। কারও জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে স্বাস্থ্য বাতায়নে ১৬২৬৩ ও ৩৩৩ এতে যোগাযোগ করে চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। # কাশেম