দূরবণি নিউজ ডেস্ক :
মাত্র ৪ রানের ব্যবধানের হেরেগে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে আফসোসটা অনেক বেশি বড় আকারে রয়েগেল।
তীরে এসে তরী ডুবার মতো ঘটনা। সহজ লক্ষ্য পেয়েও জয়ের বন্দরে নাও ভেড়াতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।
ক্যারিবীয়ানদের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩৬ রানে থেমে গেছে সালমারা। আশাজাগানিয়া ম্যাচটি ৪ রানে হেরে মাঠ ছেড়েছেন তারা।
১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৫ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান ওপেনার শামীমা সুলতানা। আরেক ওপেনার শারমিন আক্তারের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
২৫ বলে ১৭ রান করে শারমিনও ফিরলে ভেঙে যায় এই জুটি। এরপর নিগারের সঙ্গী হন আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা হক। এই দুজনের জুটিতে আসে ৩০ রান। এরপর ২৩তম ওভারে এসে দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এর আগেই আউট হন ফারজানাও।
৬৫ বলে ২৩ রান করে তার বিদায়ের পর রিতু মণি ও রুমানা আহমেদ কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান। ৭৭ বলে ২৫ রান করে নিগার সুলতানা ফিরলে বাংলাদেশের একমাত্র আশা হিসেবে মাঠে থাকেন সালমা খাতুন।
কিন্তু পাতা ফাঁদে পা দেন তিনিও। মিড উইকেটকে ক্লোজ করে বল করেন অধিনায়ক টেইলর। সালমাও বল তুলে দেন ঠিক সেখানেই। ৪০ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যেতে হয় তাকে। শেষদিকে জাহানারা আলম ও নাহিদা সুলতানা চেষ্টা চালান।
শেষ ওভারে বেশ রোমাঞ্চও ছড়ায়। এক ওভারে দরকার ছিল ৮ রান। প্রথম দুই বলে আসে তিন রান। কিন্তু তৃতীয় বলে ফারিহা তৃষা বোল্ড হয়ে গেল হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
এর আগে মাউন্ট মঙ্গুনইতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংয়ের ফলও বাংলাদেশ পেয়ে যায় দ্রুতই। ক্যারিবীয়নদের দলীয় ২৯ রানে প্রথম উইকেট যায়।
২০ বলে ১৭ রান করা দিয়েন্দ্রা ডটিনকে সাজঘরে ফেরত পাঠান জাহানারা আলম। আরেক ওপেনার হেইলি ম্যাথিউসকেও ৪৩ বলে ১৮ রান করার পর আউট করে দেন নাহিদা আক্তার। দুই ভয়ঙ্কর ওপেনারের ফেরার পর কাজটা সহজ ছিল মেয়েদের। ওই পথে এগোচ্ছিলও ভালোভাবে।
১৭ বলে ৪ রান করা অধিনায়ক স্টেফেনি টেইলরকেও ফেরায় বাংলাদেশ। ৭০ রানে ৭ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ১০০ এর আগেই ক্যারিবীয়ানদের অলআউট করার সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে।
কিন্তু শেমাইন ক্যাম্পবেলের জন্য সম্ভব হয়নি সেটি। অষ্টম উইকেট জুটিতে অ্যাফি ফ্লেচারের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। ১০৭ বলে ৫৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিতও থাকেন তিনি। ১৪০ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।#