দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
কুয়েতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (লক্ষ্মীপুর-২) মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম পাপুল। অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের আদালত মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম পাপুলকে ২১ দিনের জন্য কারাগারে পাঠিয়েছে।
কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্যকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে কুয়েতের সংবাদপত্র ‘আরব টাইমস’ । শুধুমাত্র একজন ব্যবসায়ীকে ২,০০০ কুয়েতি দিনারের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেল পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ এনেছেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজনকেও আটক করা হয়েছে। আরব টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়, এরমধ্যে একজন বাদে বাকিদের জেলে পাঠানো হয়েছে।
গত ৭ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সাংসদ পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কিভাবে বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও সহায়তা করেছে ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে।
এখন পর্যন্ত তদন্তে বের হয়ে এসেছে পাপুল প্রতি বছর বিভিন্ন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদ প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতো।
এছাড়া পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর। বিদেশের মাটিতে একজন সাংসদ আটকের ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। #