আবুল কাশেম , (দূরবীণ নিউজ) :
বরিশাল জেলার অভিভাবক ও জেলা প্রশাসক এস. এম অজিয়র রহমান দিন রাত ছুটে বেড়াচ্ছেন করোনা পরিস্থিতিতে নিম্ম আয়ের মানুষ শ্রমিক- কর্মচারী, গরীর ও অসহায় লোকজনের কাছে। নিজে নিত্যয়োজনীয় খাবার সামগ্রীর বস্তা নিয়ে গোটা বরিশালে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে অসকায় মানুষের সামনে হাজির হচ্ছেন।
তাকে দেখে রীতিমতো ওই এলাকার সাধারণ মানুষ অনেক খুশি এবং অভাক। জেলা প্রশাসক স্যার নিজে গাড়িতে করে প্রতিদিন অনাহারী মানুষের মুখে আহার তুলে দিচ্ছেন।
তবে বরিশালের জেলা প্রশাসকের মতো আরো অনেক সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা জনগণের সেবায় ছুটে যাচ্ছেন এটাও সত্য। আবার সুযোগ পেলে পিতা সমতুল্য অসহায় লোকজনকে মারপিট করেন এবং কান ধরে উঠ বস করিয়ে ছাড়েন এমন নজিরও রয়েছে।
যাই হোউক এবার কিছু কথা বলেছি :
বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান একজন সমাজ সেবক। তার সেবামূলক অসংখ্য প্রামণ্য চিত্র গোটা দেশ বাসী দেখতে পাচ্ছেন সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে। বরিশালে জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রতিদিন এতো বেশি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বলতে গেলে বরিশালের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন তিনি। বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান একজন মিডিয়া বান্ধব কর্মকর্তা । তিনি কৃষক, শ্রমিক, রিকশা চালক, পান দোকানী, ব্যবসায়ি, শিক্ষক, আলেম, শিক্ষার্থী, জেল, কামার -কুমার, খেলোয়ার এমনকি পথের ভিক্ষারীর সুখ দু:খের কথা মনদিয়ে শোনেন এবং তাদের উপকার করতে চেষ্টা করেন।
এস এম অজিয়র রহমান বরিশালে পোর্স্টিং পাবার আগে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় ডিএনসিসির মেয়রের প্রোগামের নিউজের আগে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অজিয় রহমানের অনুষ্ঠানের নিউজ সাংবাদিকরা প্রচার ও প্রকাশ করতেন। এমন অনেক নজির রয়েছে।
এদিকে উল্টা চিত্রও বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ফেসবুকে প্রকাশিত হচ্ছে:
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ;
আর উল্লেখযোগ্য হলো- কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম ৪০ জনের বাহিনী নিয়ে গত ১৩ মার্চ গভীর রাতে একজন সাহসি সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতনকে বাড়ি থেকে ধরে আনেন।
ওই সাংবাদিককে ‘ক্রস ফায়ারে’ দেওয়া হুমকি দেয়া হয় এবং তাকে অমানবিক নির্যাতনের পর ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দিয়ে সোজা জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে এই ঘটনায় উচ্চ আদালতে ওই সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের জামিন হয়। একই সাথে উচ্চ আদালতের নির্দেশে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দীনসহ জড়িতদের থানায় মামলা হয়েছে। আর সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে বলে জানা যায়।
যশোরের :
এদিকে গত ২৭ মার্চ সামাজিক গন মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত কিছু ছবিগুলো ছিলো; যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনেটোলা বাজারে ৪ জন বৃদ্ধ ভ্যানচালককে কান ধরে ওঠবস করান সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান । তিনি আবার কান ধরে উঠ বসের ছবি মোবাইলে তোলেন। আর ওই সময় পাশে ছিলেন পুলিশসহ আরো কয়জন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
পরের দিন ২৮ মার্চ ঐ উপ জেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী কিছু চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ ও ক্ষারযুক্ত সাবান নিয়ে ওই ৪ বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে জড়িয়ে ধরে মক্ষা চেয়েছেন। এই ছবিগুলো বিভন্নি গণমাধ্যমসহ ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। তাদের সম্পর্কে দেশ বাসীর করা অনেক মন্তব্য আছে, সেদিকে আর যাবার প্রয়োজন নেই।
ডিএনসিসি :
কয়দিন আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (মহিলা) তার নিজের গাড়ি চালককে ডিউটিতে বিলম্বে আসা কিংবা ‘যে কোনো ভুল ত্রুটির’ কারণে নিজেই মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সোজা জেল খানায় পাঠিয়ে দেন। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ডিএনসিসির সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ এবং অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে ডিএনসিসির মেয়রের হস্তক্ষেপে কর্মচারীরা বিষয়টি এরিয়ে যান। আর ২/৩ দিন পর ওই গাড়ি চালকের জামিন হয় । কিন্তু তিনি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাননি বলে জানা যায়। ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাড়ি চালকের নাম প্রকাশ করা হলো না। এই ধরনের আরো অনেক ঘটনার নজির রয়েছে। # কাশেম