দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা। এটা কোনো খুনির দেশ নয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় খুনিদের কোনো স্থান নেই। এ দেশটা রক্ষায় বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সবাইকে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা তুলে ধরতে হবে। তাহলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা জাগ্রত হবে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান বিচারপতি ভার্চুয়ালি ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুই বিচারপতির লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বই দুইটির লেখক ও নাম হলো-হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রচিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ: একজন যুদ্ধ শিশুর গল্প ও অন্যান্য’ এবং বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম রচিত ‘বঙ্গবন্ধু: সংবিধান আইন আদালত ও অন্যান্য’।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট রোকসানা পারভীন কবিতা। বই দুটিতে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন বিষয় ফুটে উঠেছে।
প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই দুটির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই বই দুটি পড়লে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মা-বোনদের সীমাহীন ত্যাগের কথা জানা যাবে। বই দুটি বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস করি। বিচারক, আইনজীবী, তরুন প্রজন্মসহ সকলেই উপকৃত হবে। বই দুটি ভবিষ্যতে দলিল হিসেবে কাজ দেবে বলে মনে করি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে বলা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগসহ রাষ্ট্রের সকলের সহায়তায় সুপ্রিম কোর্ট কাজ করবে। আমাদের কেন আদালত অবমাননার রুল জারি করতে হবে?
তিনি বলেন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আমরা আদালত অবমাননার আদেশ জারি করতে করতে হয়রান। যেভাবে আমাদের রায় বা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার কথা, সে অনুযায়ী হচ্ছে না। এটা দুঃখের বিষয়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রখেন, আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্য বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ইতিহাসবীদ অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল ইসলাম, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, লেখক আনিসুল হক ও প্রকাশনা সংস্থা মাওলা ব্রাদার্সের আহমেদ মাহমুদুল হক বক্তব্য রাখেন। /