দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্,দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন দুর্নীতি মুক্ত। শত্রুরাও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেন নাই।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে পারি-নিজে দুর্নীতি করবো না। নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে দুর্নীতি দমনে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবো। এটাই হবে জাতির পিতার প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ সম্মানের নিদর্শন।
বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুরে দুদক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
দুদক মহাপিরচালক মোঃ জহির রায়হানের সঞ্চালানায় ভার্চুয়াল আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেনে দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান,দুদক কমিশনার মোঃ জহুরুল হক ,দুদক সচিব ড. মোহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ,দুদক মহাপিরচালক মোঃ রেজানুর রহমান, দুদক পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান খান, দুদকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ কামরুল আহসান, দুদক সজেকা রাজশাহীর উপপরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ব বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা। উন্নয়নের এ অভিযাত্রায় সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়শিয়ার সাথে বাংলাদেশও বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে যাত্রা শুরু করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে, বাংলাদেশ আজ এসব দেশের কাতারেই থাকতো।
তিনি বলেন, আমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি,তাহলে তার আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে স্ব-স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন অন্যায়-অবিচারে বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দুদক কমিশনার মোঃ জহুরুল হক বলেন, জাতির পিতা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা ছিলেন বলেই ১৯৭৩ সালেই বাংলাদেশ আইটিইউ-এর সদস্য পদ গ্রহণ করেছিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি তিনিই স্থাপন করে দিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো ৮০’র দশকেই বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারতো। যদিও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৮ সালে সেই স্যাটেলাইট আমাদের হয়েছে।/