দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় দন্ডপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে দিতে তারা যেসব দেশে পলাতক রয়েছে, সেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিগগিরই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেবে।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহীনের পরিচালনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার এক অনলাইন আলোচনায় একথা জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) গণমাধ্যমকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে অবিলম্বে একটি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া গংরা সম্পৃক্ত। এটা এখন প্রমাণিত সত্য।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের পেছনে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য জড়িত- এমন একটি কথা অনেকদিন ধরে সাধারণভাবে প্রচলনের চেষ্টা চলছে। এটি একেবারেই সত্য নয়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদের সাম্প্রতিক প্রকাশিত ভিডিও সাক্ষাৎকার সেটিরই প্রমাণ করে।’
তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। বিগত ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় ঘোষিত হয়েছে। ১২ খুনীর মধ্যে ৬ জনের রায় ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। এক খুনি মারা গেছেন। বাকি ৫ জন এখনো পলাতক। এটা আমরা জানি। অথচ অদ্যাবদি বাঙালি জাতির মহান স্থপতি জাতির জনকের এই নৃশংস হত্যায় যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়নি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ফলে তারা রাজনৈতিক স্রোতের সাথে মিশে গিয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করছে। এরাই পরবর্তীতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দেয়ার মতো নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশে একের পর এক নাশকতা চালিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। অতএব এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. কাজী সাইফুদ্দিন, শহীদ এমপি নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা ও ঢাকা মহানগর সভাপতি জোবায়দা হক অজন্তা, শফিউল বারী রানা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মৃদুল, আহমাদ রাসেল, আজহারুল ইসলাম অপু, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক মনির, সৈয়দ দিদারুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গুলজার হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আমুস’র উপদেষ্টা কৃষিবিদ দেবাশীষ সাহা, সিলেট মহানগরের সভাপতি মো. আতাউর রহমান ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবুল বাশার জুয়েল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত প্রায় ১১ বছরেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি।