দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রকৃত লোকজনই গৃহিত প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবেন। অন্যকেউ এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না বলেছেন তিনি।
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ডেমরার রানীমহল মিলনায়তনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ব্যবসায়িক মঞ্জুরি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮০ জন মহিলার প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ১৮ লাখ টাকা ব্যবসায়িক অনুদান বিতরণ করা হয়।
মেয়র শেখ তাপস বলেন, “আমি যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করি তখন দেখলাম. প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মধ্যে অনেকেই ঢাকাবাসী ছিলেন না। কিন্তু প্রকল্পের আওতাধীন এলাকা যেহেতু দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, তাই, ঢাকাবাসী নয় এবং ঢাকার ভোটার নয় এমন অনেককেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, প্রকৃত প্রাপ্যতা যাদের রয়েছে শুধু তাদেরকেই আমরা প্রকল্পের উপকারভোগী হিসেবে দেখতে চাই। সেটি নিশ্চিত করতে এই কার্যক্রমে আমরা কাউন্সিলরদেরকে সম্পৃক্ত করেছি।”
প্রকল্পের একটি পয়সাও যেন ঢাকার বাইরে যেতে না পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে মেয়র শেখ তাপস বলেন, যারা গ্রামে বা অন্যান্য শহরে বসবাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্য আরো অনেকগুলো প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়ন করে চলেছেন। কিন্তু ঢাকায় বসবাসরত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শুধু এই একটিই প্রকল্প। তাই, ঢাকাবাসী যারা ঢাকার ভোটার শুধু তাদের জন্যই এই প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রূপরেখা দেন তা বাস্তবায়ন করেন উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১ দিয়েছেন, রূপকল্পের আলোকে তিনি তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদেরকে রূপকল্প-২০৪১ দিয়েছেন। সেই রূপকল্পের আওতায় আমরা এগিয়ে চলেছি। রূপকল্পের আওতায় আমরা যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে চলেছি, তারই আলোকে আমরা উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী বিনির্মাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।”
এর আগে মেয়র শেখ তাপস সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শাহবাগের ফুল মার্কেট, বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির হতে কালি বাড়ি পর্যন্ত সংযোগ সড়ক, নন্দীপাড়া-কদমতলা খাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, এলআইইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার ডা. সোহেল ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। #