দূরবীণ নিউজ ডেস্খ:
করোনা প্রতিরোধে সরকার জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মার্কেট, শপিং মল , হোটেল- রেস্তোরা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে।
কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় কি ভাবে সড়ক ও নৌ রুটে দক্ষিণাঞ্চলীয় ২১টি জেলার হাজার হাজার লোক বলতে গেলে মিছিল করে মাওয়া ফেরিঘাট দিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিলো।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৮টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পারাপার করা হয়েছে। ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ফেরি পারাপারের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায ,মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ ও ফেরিতে করে পদ্মা পার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডাব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিক নৌযান বন্ধের সিদ্ধান্তে ঘাটে যাত্রীদের এমন উপচেপড়া ভিড় বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে করোনা সংক্রমণরোধে স্পিডবোট, লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে ঘাটের অনেক কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, শিমুলিয়া ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ, মানুষ আর মানুষ। সব যাত্রীরা এখন ফেরিতে পার হচ্ছেন। কোনো পুলিশ সদস্য লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য করেনি।
এখানে তো কঠিন সিচুয়েশন, যে যেভাবে পারছে সেভাবেই ঘাট পার হয়েছে। বিআইডাব্লিটিএর উচিত ছিল আগের দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া। তাহলে ঢাকা থেকে এত মানুষ ঘাটে আসতো না। এখন ঘাটে যে মানুষ এসেছে তা কিভাবে পার হবে। চোখে না দেখলে এই অবস্থা বুঝবার ক্ষমতা নেই।
মানুষ জীবনের দিকে তাকাচ্ছে না, কিভাবে পদ্মা পার হবে সেদিকে নজর। ঘাটের কর্মকর্তা কই, তারা তো কেউ নাই ঘাটে, একজন কর্মকর্তাও তো ঘাটে নেই। তাদেরও দায়িত্ব থাকে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার। যাত্রীদের ভিড় দেখে বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডাব্লিউটিএর কেউই ঘাটে নেই। এখন শুধু পুলিশ ঘাট দেখছে। আমরাই এখন ঘাট দেখছি।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিটিএর পোর্ট অফিসার শাহ-আলম গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ সদস্যরা আমাদের বাধ্য করেছে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৮টি লঞ্চ ছাড়ার জন্য। দেশের এরকম পরিস্থিতি কেন তারা এই কাজটি করেছে তা জানা নেই। তবে তারা সঠিক কাজ করেনি। পুলিশ সদস্যদের নিষেধ করা হয়েছিল কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথাই শুনেননি। এখনো ঘাটে অনেক যাত্রীর চাপ।
শিমুলিয়া বিআইডাব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহ্দাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রীদের চাপ বেশি দেখে পুলিশ সদস্যরা লঞ্চের স্টাফদের কিছুটা ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে যেতে বলেছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই। # কাশেম