দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে খেঁটে খাওয়া কোনো কৃষক ও শ্রমিক দুর্নীতি করে না। এখনও প্রান্তিক মানুষ দুর্নীতি করে না। বড় বড় দুর্নীতি ও লুটপাট করে এ দেশের প্রভাবশালী এবং শিক্ষিত মানুষ। তাই নতুন প্রজন্মকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার (৩১ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক এসব কথা বলেন। জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত জেলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ও উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, দুদকের বিভিন্ন পর্য়ায়ের কর্মকর্তা, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক মসিউল করিম বাবুসহ অন্যরা। শেষে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন দুদকের কমিশনার মো. জহুরুল হক।
দুদকের কমিশনার বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা জজ- ব্যারিস্টার বানাবেন না। তাদেরকে সত্যিকারের মানুষ বানান। মানবিকমূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলুন। তাদেরকে সৎ নিষ্ঠাবান, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। কারণ তারা যদি মানুষ না হয় তাহলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। দুর্নীতি বেড়ে যাবে। মানবিক মূল্যবোধ তৈরির একমাত্র জায়গা হচ্ছে শিক্ষা। আপনারা যারা শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন তারাই পারেন নতুন প্রজন্মকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
দুদক কমিশনার মো. জহরুল হক বলেন, দুদক কারো তদবির শোনে না। কাউকে ভয়ও পায় না। দুর্নীতি করলেই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। তাতে অপরাধী যেই হোক না কেন। কে রাঘব-বোয়াল, আর কে চুনোপুঁটি তা আমরা দেখছি না। আপনারা গণমাধ্যমের কল্যাণে দেখতে পাচ্ছেন, অনেক বড় বড় রাঘব বোয়াল দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে আত্মসমর্পণ করছে। তা করতে তারা বাধ্য হচ্ছে। কারণ তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নিরলসভাবে কাজ করেছি আমরা।
তিনি জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা বিনা পয়সায় কখনো কখনো নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে দুর্নীতি প্রতিরোধে যে ভ‚মিকা রেখে চলেছেন এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান এবং সততা সংঘ ও সততা স্টোর আবার সক্রিয় করতে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন। পরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে দুদকের কার্যক্রম তুলে ধরেন দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা) মো. আক্তার হোসেন। এছাড়া সততা সংঘ ও সততা স্টোর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন, দুদকের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. কামরুল আহসান। # কাশেম