দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জালের মাধ্যমে কোটি টাকার প্রতারণায় জড়িত চক্রের সদস্য মো. ফরিদুজ্জামান সেলিমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ রোববার (২৩মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফয়সাল হাসান আরিফ।
জালিয়াত চক্রটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুয়া ৫৪ হাজার কোটির টাকার যাচাই কপি তৈরি করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। ফরিদুজ্জামান সেলিম নামের এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে এই ৫৪ হাজার কোটি টাকা আছে বলে তারা প্রচার চালায়।
তারা আরও প্রচার চালায় যে, ‘প্রধানমন্ত্রী (বিশেষ কমিশন নিয়ে) এই টাকা ছাড় করে দেয়ার জন্য বলেছেন। আপনাদের মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় এর থেকে ১ শতাংশ পেলেও ২০০ কোটি টাকার বেশি পাবেন। এই টাকা ছাড় করাতে কিছু খরচ আছে। খরচ দিলে আপনাদের ২০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব।’
সেলিম ফ্রান্সের এলসিএল ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পাঠান বলে একটি জাল ডকুমেন্ট দেখানো হয়। এরপর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানসহ অনেকের স্বাক্ষর জাল করে এই চক্রটি। তারা কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের লোগোসহ চিঠি তৈরি করে।
এই চক্রের সদস্য লক্ষ্মীপুর সদরের হেলাল উদ্দিন, নাটোরের লালপুর থানার কেশবপুর গ্রামের এনামুল হক ও টাঙ্গাইল সদর থানার বেপারীপাড়ার নাজমুল হাবিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাগেরহাটের রামপাল থানার কালীবাড়ি এলাকার ফরিদুজ্জামান সেলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট থেকে সেলিম কারাবন্দি।#