দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪ তম জম্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও দুইটি ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি উদ্বোধন করেছে
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জম্মদিনে এবার কেক কাটা নাই, বরং সাদামাটা, অনাড়ম্বর অথচ তাৎপর্যময় এই কর্মসূচি। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডেও অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশান ২ নম্বর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ডিএনসিসি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, এ কে এম রহমত উল্লাহ, সুবর্ণা মোস্তফা, নাহিদ ইজাহার খান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন চিত্রঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই চিত্রাঙ্কনে অংশ নিচ্ছে আমাদেরই অর্থাৎ ডিএনসিসি পরিবারের ৭৪ জন শিশু-কিশোররা। এই শিশু-কিশোরদের বাবা-মায়েরা ঢাকা উত্তর সিটির পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কর্মরত।
অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের সাথে সাথে ছবি আঁকবেন দেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পীগণ। তাঁদের কাছে শিশুরা ছবি আঁকা দেখবেন, শিখবেন। এ যেন গুরু-শিষ্যেরও এক পরম্পরা।
ডিএনসিসির মেয়র গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী ৩ অক্টোবর থেকে নগরীর পার্কগুলো অবৈধ দখল করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবেন।
তিনি বলেন,জনগণের পার্ক জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনের অঙ্গীকার।
মেয়র বলেন, রাস্তা, ফুটপাত দখলকারীদের নিজ ইচ্ছায় সরে যেতে বললেন। এরপরে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হবে। ফুটপাতে রড সিমেন্ট রেখে অট্টালিকা করছেন, বাড়ি করছেন। আর রাস্তায়, ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী রেখে দেওয়ায় জনগণের অসুবিধা করছে , এটা হতে দেওয়া যাবে না।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা দুইটি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরম্পরা উদ্বোধন করেন এবং শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন দেখেন। পরে শান্তির প্রতীক কবুতর মুক্ত করা হয়। সবশেষে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করা হয়। এতে অংশ নেন আসাদুজ্জামান নূর, আহকাম উল্লাহ, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমূখ।# প্রেস বিজ্ঞপ্তি
—