দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
করনোভাইরাস সংক্রমণে সঙ্কটগ্রস্ত রফতানি শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের ভাতা প্রদানে পাঁচ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন। সংগঠনের নেতারা
বরাদ্দকৃত অর্থ সরাসরি শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে জমা পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায় এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ক মো. মহসিন ভুইয়া এ আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা ভাইরাস মহাবিপর্যয়ের সময় রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস শিল্পে সংকটের ফলে কর্মরত প্রায় অর্ধকোটি শ্রমিকের জীবনে যে দুরবস্থা নেমে আসবে, তা মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ যে অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন তা যেন সঠিকভার ব্যবহৃত হয় সে জন্য মনিটরিং সেল থাকা উচিত।
শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দের অর্থ যেন মালিক আর লুটেরা শ্রেনীর পকেটস্থ না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে সচেতন থাকতে হবে। এই অর্থ কারাখানা মালিকদের কাছে হস্তান্তর না করে সরাসরি শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমারা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা বলেন, অতীতেও পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া হপ্তা, ভাতা গ্রাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধকৃত এক হাজার কোটি টাকার সামান্যই সে কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। বরং দেনা-পাওনা মেটাতে ব্যয় করা হয়েছে।
এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর ওই বিশেষ তহবিলের টাকা বেতন-ভাতা হিসেবে শ্রমিক কর্মচারীরা যেন পায় তা নিশ্চিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক প্রতিনিধিদেরও কমিটিতে যুক্ত করা প্রয়োজন।
তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত এই প্রমোদনা শ্রমিকদের জীবন বাচাবে। কিন্তু মালিকরা তো শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাই পরিশোধ করছেন না। এই প্রনোদনা তাহলে কি শ্রমিক-কর্মচারীদের কোন কাজে লাগবে ? এই প্রশ্ন দেখা দেয়াটা স্বাভাবিক।
তারা বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মার্চ মাসের পুরো বেতন ও ওভারটাইম পরিশোধ করে অবিলম্বে সকল কারখানায় ছুটি ঘোষনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিজেরা বাচুন, শ্রমিকদের বাচান, শিল্প বাচান। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি