দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
‘কিশোর আলোর’ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শুধুমাত্র প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) মতিউর রহমানের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
জানা যায়, গত বছর ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার রাহাত নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। ওই দিন বিকেলে বিদ্যুতায়িত হওয়ার পর আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চলতি বছরের ১২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ওই ঘটনায় করা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন আদালত।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে আদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মতিউর রহমান, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল, শাহ পুরান তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হওলাদার। আসামিদের সবাই জামিনে রয়েছেন।
তবে অপর আসামি কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মতিউর রহমান।
এরপর গত বছর ৬ নভেম্বর নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং কিশোর আলোর প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলা জনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া /