আবুল কাশেম:
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ মারাত্মক ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর এবং বিষাক্ত কিমিক্যাল মিশানো ফলসহ দেখতে চকচকে মজাদার এবং দূষিত খাবারে সয়লাভ। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এসব খাবার তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে। তবে মাঝেমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু এতেও বেজাল এবং দূষিত খাবার তৈরি এবং বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না।
এদিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়াতে প্রতিবছর দূষিত খাবার গ্রহণের ফলে এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এরমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শিশু রয়েছে। এছাড়া দূষিত খাবার গ্রহণের ফলে ১৫০ মিলিয়নের বেশি অর্থাৎ ১৫ কোটির বেশি মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন। এরমধ্যে ৬ কোটির বেশি শিশু রয়েছে। দূষিত খাদ্য গ্রহণের ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে গর্ভবতী মহিলা,শিশু এবং বয়স্ক লোকজন।
ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগরভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আলোচকগণ।
অনুষ্ঠানে আরো বলা হয়, ক্রমেই জটিল রোগে আক্রান্ত হবার ফলে নানা বয়সী লোকজন কর্মহীণ,শারিরীকভাবে দুর্বল এবং মেধাশূন্যতায় ভোগছেন। এই পরিস্থিতিতে বাঁচতে হলে আমাদেরকে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে আরো অনেক সচেতনাতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ভেজাল,অস্বাস্থ্যকর, বিষাক্ত কিমিক্যাল মিশানো ফলসহ দেখতে চকচকে মজাদার এবং দূষিত খাবার তৈরি ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের খাদ্যের বিশুদ্ধতা পরিবীক্ষণ ও বিচারিক কার্যক্রম বিভাগের পরিচালক ড.সহদেব চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন,বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঢাকা মেট্রো পলিটন বিভাগের কর্মকর্তা মেহরীনযারীন তাসনিম।বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা নাজমা শাহীন এবং রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। #