দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
বহুল আলোচিত বিদেশে অর্থ পাচারকারী ও দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামী পি কে হালদারকে গ্রেফতার করায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট। এ ঘটনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে উচ্চ আদালত বলেছেন, পি কে হালদারসহ এদেশের চিহ্নিত অর্থপাচারকারী বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স মেসেজ ক্লিয়ার
।
সোমবার (১৬ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বে এ মন্তব্য করেন। হাইকোর্ট বলেন,দুদকের মামলার আসামী পিকে হালদারকে গ্রেফতার দুর্নীতি ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল।
কোন ধরণের দুর্নীতি ও অর্থপাচারকারীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের ব্যাপারে আমরা খুবই সিরিয়াস।
পরে আদালত পি কে হালদার বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য ১৭ মে (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেন। এর আগে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে দেশের ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের এ বে ।
আসামী পি কে হালদারকে ভারতে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
১৪ মে (শনিবার) ভারতের গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশিত হয় দুদকের আসামী পি কে হালদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, পি কে হালদারকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। এ বিষয়ে অমি ডিটেইল জানি না।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার এবং স্ত্রীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে গ্রেফতারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। #