দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক:
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায়একদল সন্ত্রাসী পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের একটি হলে হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা ওই হলে ভাঙচুর, বোমা নিক্ষেপ ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আর ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।
এদিকে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কয়েকজন সন্ত্রাসীর নাম জানতে পেরেছি। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানান, আজ সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ৮-১০ জনের একদল সন্ত্রাসী হঠাৎ শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। হলের কয়েকটি কক্ষে ঢুকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে তারা। এ সময় অন্য কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা একটি বোমা নিক্ষেপ ও কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়।
এরপর হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। ঘটনার প্রতিবাদে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের কয়েকটি দল সেখানে উপস্থিত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর রাত ৯টার দিকে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে এসে তাঁদের বিরক্ত করছে। এরা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। হলে এসে নেশা করে, শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যায় আবদার করে।
তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আজ সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। অবিলম্বে ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত না হলে বড় আন্দোলনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।
কলেজের শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে জানান, কলেজের ছাত্র না হয়েও বহিরাগতরাই কলেজ নিয়ন্ত্রণ করে। হলে এসে নেশা করে হলের পরিবেশ নষ্ট করে। এদের অত্যাচারে প্রত্যেক শিক্ষার্থী অতিষ্ঠ। এদের হাত থেকে সবাই মুক্তি চায়।
কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শওকত আলী খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নির্যাতিত হওয়ার কথা আমরা আগেও শুনেছি। এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা ক্যাম্পাসে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগাব। পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ যেন ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। #