দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
আজ ১৪ জুন রাজধানীর মিরপুর-১২ এর কুর্মিটোলা বিহারী ক্যাম্পের অগ্নিকান্ডের ট্রাজেডির দিন। ৬ বছর আগে ২০১৪ সালের ১৪ জুন পবিত্র শবে বরাতের রাতে পরিকল্পিত অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের ১০ জন পুড়ে মারা যায়।
আজ নিহত ১০ জনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে উর্দূভাষী বিহারীরা ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পারন করেছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস জনিত কারণে সভা সমাবেশের উপর বিধি-নিষিধ থাকায় এ বছর বিহারী সংগঠন কোন সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচী গ্রহণ করতে পারেনি।
রোববার সকালে বাংলাদেশী বিহারী পূণর্বাসন সংসদের (বিবিআরএ) সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ জাহিদ ও বিবিআরএ পল্লবী থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ টিটু ইসলামের নেতৃত্বে বিহারী নেতৃবৃন্দ মিরপুর-১২ এর কালশী কবর স্থানে নিহতদের কবর জিয়ারত করেন।
৬ বছর আগে ওইদিন ভোর রাতে ঐ বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দা ও বাংলাদেশী বিহারী পূণর্বাসন সংসদের (বিবিআরএ) ‘স্থানীয় নেতা আজাজ’ গুলিবিদ্ধ হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাশ, এদিকে গত ১০ জুন দিবাগত রাতে মিরপুর-১১ এর বি ব্লকে অবস্থিত মিল্লাত ক্যাম্পে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, দা-বঠি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এই হামলায় আহত হয়েছে বিহারী যুবক হৃদয় এবং আরো কয়েকজন। পরদিন ১১ জুন ভোর রাতে বিহারী মিল্লাত ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দাদের দোকানের শার্টারে ও ঘরের দরজায় চাপাতি ও দা দিয়ে কুপিয়েছে হামলাকারীরা
ওই ১১ জুন আহত হৃদয়ের পিতা মোঃ তাহের বাদী হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নাম ঠিকানাসহ পল্লবী থানায় দন্ডবিধির ১৪৩/ ৩০৭/ ৩২৬/ ৩২৪/ ৩৭৯/ ৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা করেছেন, মামলা নং-১০। মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, মিল্লাত ক্যাম্প হামলায় অংশ নিয়েছে ১০/১২ জন।
তবে বিহারীরা জানায় ওইদন হামলা অংশ নিয়েছে দুই শতাধিক লোক। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি বলেও জানান তারা। ফলে তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। #